Translate

বুয়েটে শিক্ষার্থী আবরার হত্যার বিস্তারিত বর্ণনা

বুয়েটে শিক্ষার্থী  আবরার হত্যার বিস্তারিত বর্ণনা


আবরার ফাহাদ ১৩ ই মে, ১৯৯৮ সালে কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছেন। তার পিতার নাম মোঃ বরকত উল্লাহ এবং মায়ের নাম রোকেয়া খাতুন। ৩১ মার্চ, ২০১৮ এ, তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) পড়াশোনা শুরু করেছিলেন।
তিনি ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) -এর তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ।তিনি শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর রুমে নিহত হয়েছেন। তিনি একই হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাথে তার জড়িত থাকা নিয়ে সন্দেহ করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা তাকে ৬ অক্টোবর ২০১৯ পিটিয়ে হত্যা করে ।  শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ভোঁতা জিনিসের মাধ্যমে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয়েছে  আবরারকে তার সাম্প্রতিক একটি ফেসবুক পোস্টের কারণে আক্রমণ করা হয়েছিল বলে পুলিশ সন্দেহ করে, যা ভারতের সাথে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কিছু চুক্তির সমালোচনা বলে মনে হয়েছিল।

আবরার হত্যার পরের দিন ৭ অক্টোবর অনিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৮ অক্টোবর তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার তিন নম্বর আসামি অনিক সরকার।
আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় শনিবার পর্যন্ত মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না আবরার সেটা নিশ্চিত করেছেন তার পরিবারের সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা।
হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ লুকানোর জন্য খুনিরা সিসিটিভি ফুটেজ মুছে দেয় । তবে পুলিশের আইসিটি বিশেষজ্ঞরা তা উদ্ধার করতে সক্ষম হন। পুলিশ ও চিকিৎসকরা আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করার প্রমাণ পেয়েছেন।

সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এবং বুয়েটের শিক্ষার্থীর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে।
এই নির্মম হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছে জাতিসংঘ

Post a Comment

0 Comments