ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম-ওলামার সঙ্গে পরামর্শ করে’ মসজিদে জামাতে নামাজের জন্য ১২ দফা শর্ত রাখা হয়েছে।
১. মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। বাইরে থেকে যারা নামাজে যাবেন, তাদের নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে যেতে হবে।
২. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সবান-পানি রাখতে হবে। মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে যেতে হবে।
৩. প্রত্যেককে নিজের বাসা থেকে ওজু করে সুন্নত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে যাবেন এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
৪. শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা জামাতে অংশ নিতে পারবেন না।
৫. মসজিদে ইফতার ও সেহরির আয়োজন করা যাবে না।
৬. কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব অর্থাৎ তিন ফুট দূরত্ব রেখে দাঁড়াতে হবে।
৭. মসজিদের ওজুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ বা টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
৮. করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে দোয়া করার জন্য খতিব ও ইমামদের অনুরোধ করা হচ্ছে।
৯. এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।
১০. খতিব, ইমাম ও মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।
১১. সবার সুরক্ষার জন্য স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।
১২. উপরোক্ত শর্ত পালন করে প্রত্যেক মসজিদে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে সর্বোচ্চ পাঁচজন ইতেকাফ এর জন্য থাকতে পারবেন।
0 Comments