Translate

গাড়ির সার্ভিসিং খরচ বাঁচানোর উপায় | Reduce Car Servicing Cost

গাড়ির সার্ভিসিং খরচ বাঁচানোর উপায়

 




আমাদের জীবনে খরচের কমতি নেই! আমরা চাইলে অনেক সময় খরচকে কিছুটা কমাতে পারি। অর্থাৎ একটু বুঝে,শুনে,দেখে সব কিছু পরিচালনা করলে খরচ অনেকটাই কমে যায়। আর এই খরচ কমানোর জন্য আপনাকে জানতে হবে কি ভাবে করলে খরচ কমানো যায়! সব কিছুর ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য। তার মধ্যে গাড়িও অন্যতম।  প্রতিদিনই কোনো না কোনো ভাবে এই গাড়ির সার্ভিসিং এর জন্য খরচ করতে হয়। কিন্তু এই সার্ভিসিং খরচ চাইলে কমানো যায় অনেকটা।  চলুন জেনে নেই, কীভাবে গাড়ির সার্ভিসিং খরচ কমানো যায়।
১) দামের তুলনা করা :

গাড়ি সার্ভিসিং খরচ সম্পর্কে আমরা অনেকেই তেমন জানিনা ! আপনি যদি কোন সার্ভিস সেন্টারে   দীর্ঘদিন সার্ভিসিং করান তাহলে অনেক সময় সার্ভিসিং খরচ সম্পর্কে ভুল ধারনা সৃষ্টি হয়,কিংবা না জানার কারনে খরচ বেশি ও হতে পারে। এজন্য সার্ভিসিং খরচ সম্পর্কে আরো ভালো ধারনা পেতে  কয়েক জায়গায় দেখতে হবে খরচ কেমন পড়ে। এতে সময় ব্যয় হলেও, আপনার জন্য দীর্ঘস্থায়ী ভালো কিছু বয়ে আনতে পারে। এতে তুলনামূলক ভাবে আপনার খরচ কমে যাবে ।

২) বিশ্বাসযোগ্য মেকানিকের কাছে যাওয়া :

পৃথিবীতে অনেক রকম মানুষ আছে । আপনি হয়তো বুঝতে পারবেন না কিভাবে আপনাকে ধোকা দিচ্ছে । একজন ভালো মেকানিক আপনার সার্ভিসিং খরচ অনেক কমাতে পারে। বিশ্বাসযোগ্য যাকে মনে হয় তার কাছেই যাওয়া ভালো। আর এই বিশ্বাসযোগ্যতা হয়ে উঠে সম্পর্কের ফলে। মেকানিক এর সাথে নিজেকেও বিশ্বাসযোগ্য গড়ে তুললে অনেক ক্ষেত্রেই খরচের বিষয়টা কমতে পারে। 





৩) যা প্রয়োজন নেই তা পরিহার করা :

অনেক অপ্রয়োজনীয় কিছুকে আমরা প্রয়োজনীয় করে তুলে অনেক সময়। অনেক সময় আমাদের গাড়ির অনেক পার্টসের ওয়ারেন্টি থাকে কিন্তু আমরা সেটা ভুলে যাই, তাই গাড়ি সার্ভিসিং করানোর আগে এসব বেপার খেয়াল করুন। এতে তুলনামূলক ভাবে আপনার খরচ কমে যাবে ।

৪) প্রয়োজনীয় পার্টস আলাদা ভাবে কেনা :

আপনার গাড়ির পার্টস নিজেই কিনে আনুন। অনেক সময় মেকানিকরা পার্টস এর জন্য বেশি দাম চেয়ে থেকে সেই জন্য আপনি যদি নিজেই পার্টস কিনে আনেন সেক্ষেত্রে আপনার খরচ কমে যাবে ।

৫) সময় নিয়ে ভেবে নিন :

গাড়ির সার্ভিসিং অনেক ঝামেলার বেপার। তাই হুট করেই কোন দিসিশন নিবেন না। থান্দা মাথাই ভেবে চিন্তে তারপর সার্ভিসিং করান। আপনার একটু তারাহুরার জন্যই আপনার অনেক বেশি টাকা খরচ হতে পারে। 


৬) ব্যবহৃত পার্টস খুঁজে নিতে পারেন:

কথা প্রচলিত আছে যে “পুরোনো চাল ভাতে বাড়ে ” অর্থাৎ পুরোনো জিনিস অনেকটা টেকসই হয়। তাই গাড়ি সার্ভিসিং এর ক্ষেত্রে পুরোনো পার্টস খুঁজতে পারেন। চেনা জানা কোনো গাড়ির পার্টস প্রয়োজনে কাজে লাগাতে পারেন, এতে টেকসই সহ খরচ ও কমবে।


৭) নিজের এলাকার চার্জ সম্পর্কে জানুন :

গাড়ির সার্ভিসিং খরচ এক এক এলাকাই একেক রকম। এমন ও হতে পারে আপনার এলাকায় ভালো সার্ভিসিং নেই, কিংবা থাকলেও চার্জ নেয় খুব বেশি, সেক্ষেত্রে নিজের এলাকা সম্পর্কে জানুন।

৮) নিজের গাড়ি সেভ রাখা :

এতো কিছুর প্রয়োজন হবে না,যদি আপনি নিজে একটু সতর্ক থাকেন। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে নিজের গাড়িকে যতটা সম্ভব আয়ত্তে রাখা। নিজের গারিকে সেভ রাখা। আপনি চাইলে ট্র্যাকিং ডিভাইস ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার গাড়ি সুরক্ষিত থাকবে। 

ধন্যবাদ সবাইকে

Post a Comment

0 Comments